জাহাজ ভাঙা শ্রমিকরা রেজিষ্ট্রেশন ছাড়াই পেল কোভিড-১৯ টিকা

হাকিম মোল্লা :চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূলে অবস্থিত দেশের একমাত্র জাহাজভাঙা (শিপইয়ার্ড) শ্রমিকরা রেজিষ্ট্রেশন ছাড়াই পেল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের এই প্রতিষেধক টিকা ইয়ার্ডের শ্রমিক কার্ড এবং সচল একটি মোবাইল নাম্বার দিলে দিতে পারছেন। তবে সকল শ্রমিকদের বয়স আঠার এর উর্ধ্বে হতে হবে।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের বানুর বাজারস্থ বিএসবিআরএ ট্রেনিং ইনষ্টিটিউটে শ্রমিককে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে সকল শ্রমিকদের ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে ও বাংলাশে শিপ ব্রেকার্স এন্ড রিসাইক্লার্স এসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) সহযোগীতায় এই ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি’ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএসবিআরএ সিনিয়র সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাহাজভাঙা শিল্পের সাথে জড়িত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। প্রতিটি ইয়ার্ড থেকে শ্রমিকদের তালিকা নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের সকলকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এমপি ই পি আই আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রথম দিনে এক হাজার শ্রমিককে টিকা দেওয়া হয়েছে।

বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু :
সরকারি নির্দেশনার আলোকে মঙ্গলবার সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়।

শেয়ার করুন