বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, সরকারের অপশাসন, দুর্নীতি, লুটপাঠ ও মূল্যস্ফীতির কারণে চলমান অর্থনৈতিক সংকটে সবচেয়ে বেশী অসহায় ও দুর্বিষহ দিনাতিপাত করছেন শ্রমজীবি মানুষ। শ্রমিকের পরিবারে এখন হাহাকার চলছে। সরকার এই দুঃসময়ে শ্রমিকদের পাশে নেই। সরকারী কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় সংকটকালে প্রণোদনা পায় অথচ শ্রমিকদের জন্য কোন প্রণোদনা নেই। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে শ্রমিক সমাজকে ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করতে হবে।
আজ বিকাল ৩টায় নগরীর নুর আহমদ সড়কস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে র্যালীপূর্ব এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল নোমান একথা বলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আওয়ামী লীগের ভারত তোষণ নীতির কারণে দেশের অনেক শিল্প কারখানা রুগ্ন ও বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার নিজ দেশের চেয়ে প্রতিবেশীদের স্বার্থকে বেশী প্রাধান্য দিচ্ছে। বিএনপি’র নীতি ছিল “স্বদেশী পণ্য কিনে হও ধন্য” আর আওয়ামী লীগের নীতি হচ্ছে “ভিনদেশী পণ্য কিনে হও ধন্য”। আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই স্বপ¦ এখন ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখন ভুলুণ্ঠিত। দেশে অঘোষিতভাবে একদলীয় শাসন চলছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সরকার কুক্ষিগত করে রেখেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে বিপ্লব। তিনি শ্রমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহাবিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ.এম.নাজিম উদ্দীনের সভপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত র্যালী পূর্ব বিশাল জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডাক্তার শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি আবু সুফিয়ান। জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা একরামুল করিম, এম.এ হালিম, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস.এম সাইফুল, এস.কে খোদা তোতন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, শ্রমিকদল নেতা আবদুল বাতেন, শ.ম জামাল, ইদ্রিস মিয়া, শফি চেয়ারম্যান, শাহনেওয়াজ, মোতালেব চৌধুরী, মোহাম্মদ হারুন, গাজী আইয়ুব, জাফর আহমদ, শফিকুল আলম, আবু বক্কর, রফিক আহমদ, এডভোকেট ইকবাল প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকার সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে হাজার হাজার গায়েবী মামলা দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। এই দুঃসহ গরমে বিএনপির নেতাকর্মীরা কারাগারে অমানবিক অবস্থায় জীবন যাপন করছে। আমরা দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে সংকল্পবদ্ধ। আমরা নতুন কর্মসূচি নিয়ে স্বৈরাচারের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে জনসভা শেষে এক বিশাল ও বণার্ঢ্য র্যালী বিএনপি অফিস থেকে শুরু হয়ে রেয়াজউদ্দীন বাজার আমতল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।