খেলাশেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ড্রাইভারসহ ১৭জন আহত

বান্দরবানের লামা উপজেলায় একটি জীপগাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে আহত ১৬

বান্দরবানের লামায় গজালিয়া ডিসি রোড এলাকায় চাঁদের গাড়ী পাহাড় নীচে পড়ে কোয়ান্টাম শিক্ষার্থীসহ ১৭ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, ফাতেমা বেগম (৪০), শাহ আলম(৫০), জাহিদুল আলম(৪৫),জুই(১০), উহ্লাইয়ে মার্মা(১৭), আয়েশা বেগম (১০) বেদি (১৩), জেসমিন(১৮), নাদিয়া(১১), রেশমী (১১), রুবাইয়া (১১) প্রতিমা (১৪) শাহনাজ,(১৫) মতিন,(১০) জামিল,(১৩) হাবিল (১২)ও ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন।

আহতদের মধ্যে ফাতেমা(৪০), জাহিদুল আলম,(৪৫) শাহ আলম(৫০) তিন জনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদেরকে চট্রগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে টিটিএনডিসি মাঠে উপজেলা আন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে গ্রীষ্মকালীন খেলায় অংশ গ্রহণ করেন। খেলা শেষে বিকালে ফেরার পথে গজালিয়া ডিসি রোড়ের মাথায় দ্রুত চালাতে গিয়ে প্রায় দুইশ ফিট পাহাড়ের নীচে পড়ে যায়। এ সময় কোয়ান্টাম শিক্ষার্থীসহ ১৭জন আহত হয়।

খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি, গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপ্পেলা রাজু নাহা আহতদেরকে দেখতে হাসপাতালে যান।

এতে গাড়িতে থাকা ৪ শিক্ষক ও ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এদিকে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল কলেজের শিক্ষক শাহা আলম বলেন, গ্রীস্মকালীণ ফুটবল খেলায় অংশ গ্রহণ করে সরই ফেরার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবাহী জীপগাড়ি পাহাড়ি খাদে পড়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ ১৬জন আহত হওয়ার সত্যতা লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপ্পেলা রাজু নাহা নিশ্চিত করেন।