নরসিংদীতে মোটরসাইকেল থামাতে গিয়ে পুলিশ নিহত

নিহত

দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল থামাতে গিয়ে এটির ধাক্কায় এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নরসিংদীর ২ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলো- নরসিংদী সদরের ব্রাহ্মনদীর মনিরুল ইসলামের ছেলে হাসিবুল ইসলাম (১৮) ও সংগীতা এলাকার মাহবুবুর রহমানের ছেলে তৌফিক এলাহী সিয়াম (১৮)। এদের মধ্যে সিয়াম আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় মোক্তারপুর ইউনিয়নের একুতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কনস্টেবল আব্দুল মোতালেবের (৫৫) বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার একঢালা গ্রামে। তিনি কালীগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। তার ব্যাচ সিরিয়াল নম্বর ৯২০।

এসআই রুপন চন্দ্র সরকার জানান, বিকালে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তিনি উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের একুতা
এলাকার কালীগঞ্জ-চরসিন্দুর ব্রিজে ডিউটি করছিলেন। এ সময় কনস্টেবল শহিদ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুরের দিক থেকে আসা দ্রুতগতির চালকসহ দুই আরোহীর একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করতে সংকেত দেন। কিন্তু চালক সিয়াম তা অমান্য করে সামনে থাকা কনস্টেবল মোতালেবের উপর দিয়ে তুলে দেন।

এসআই রুপন বলেন, এ সময় তাকে মোটরসাইকেলের সঙ্গে আটকে কমপক্ষে ২০ গজ টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যান। পরে মোটরসাইকেলটি সামনের একটি ইজিবাইকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেল চালকসহ দুই আরোহী নিয়ে মাটিতে পড়ে যায় এবং পুলিশ তাদের দুজনকে আটক করে।

রুপন বলেন, এদিকে গুরুতর আহত কনস্টেবল মোতালেবকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর মিয়া বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের পর নিহতের নিজ গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।