ভেজাল মদ বানানো চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার চট্টগ্রামে

স্পিরিটের সাথে রঙ ও ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তৈরি হয় বিদেশি মদ

ভেজাল মদ তৈরির সরঞ্জামসহ আটক পাঁচজন

চট্টগ্রাম : নগরীতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্পিরিট, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, রঙ, সুগন্ধী, কোকাকোলা জাতীয় পানীয় ও ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তৈরি করা মদ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলে ভরে বিক্রি করছে। এসব ভেজাল মদ খেয়ে বিষক্রিয়ায় ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা।

আরো পড়ুন : সীমান্তে পাকবাহিনীর গুলিতে ৬ ভারতীয় সেনা নিহত
আরো পড়ুন : সীতাকুণ্ডে ওয়ারেন্টভূক্ত ১২ আসামী গ্রেফতার

সম্প্রতি এমনই ভেজাল মদপানে তিন জনের মৃত্যুর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকেই এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে সিএমপি সদরদপ্তরে অুনষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে পুলিশ।

ভেজাল মদ তৈরির সরঞ্জামসহ আটক পাঁচজন

গ্রেফতার পাঁচ জন হলেন— মো. নাছিম উদ্দিন (২৩), মো. ইকরামুল হক (৩২), স্বপন পাল (৫১), মো. ইমরান ফয়সাল (২১) এবং জাহেদুর রহমান আরজু (৩০)। তাদের কাছ থেকে স্পিরিট, নকল লেভেল, ভেজাল মদ তৈরির বিভিন্ন উপকরণ, বোতলের কর্ক জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, অনুমোদিত বিভিন্ন বার ও ক্লাব থেকে বিদেশি মদের খালি বোতল সংগ্রহ করে ভেজাল মদ ঢুকিয়ে নতুন লেভেল লাগিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় প্রতি বোতল ভেজাল মদ তৈরি করে তা বিক্রি করা হচ্ছে দেড় হাজার থেকে চার হাজার টাকায়।

প্রসঙ্গত: গত ১৩ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানার বিশ্বকলোনির মালিপাড়ায় মদপানে তিন জনের মৃত্যু হয়। এরা হলেন— বিশ্বজিৎ মল্লিক, শাওন মজুমদার জুয়েল ও মিল্টন গোমেজ। এছাড়া অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন উজ্জ্বল বণিক নামে একজন।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) ফারুকুল ইসলাম জানান, চার জন একসঙ্গে বসে মদপান করেছিল। তিন জন প্রায় কাছাকাছি সময়ে মারা যায়। অসুস্থ উজ্জ্বলের দেওয়া তথ্যমতে তারা যেখান থেকে মদ সংগ্রহ করেছিল, সেটার অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। প্রথমে বিদেশি মদের একজন খুচরা বিক্রেতাকে গ্রেফতারের পর ‘বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ’ নকল হওয়ার বিষয়ে তথ্য পায় পুলিশ।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, উজ্জ্বলের কাছ থেকে আমরা তথ্য পাই, তারা নাছিম নামে একজনের কাছ থেকে মদ কিনেছিল। নাছিমের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখি, ঘটনার পর থেকে সে এলাকায় নেই। পাঁচ দিন পর এলাকায় ফিরে সে আবারও মোটরসাইকেলে করে মদ সরবরাহ শুরু করে। আমরা তাকে বিদেশি ব্র্যান্ডের লেভেল লাগানো একটি মদের বোতলসহ আটক করি। তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বাকি চার জনকে আটক করেছি।

ওসি বলেন, এই চক্রের আরও পাঁচ-ছয় জনের নাম পেয়েছি। তারা স্পিরিট, তিন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, কোকাকোলা, রঙ, মদের ফ্লেভার আর ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মদ তৈরি করে। এই মদ শরীরে মারাত্মক বিষক্রিয়া তৈরি করে

শেয়ার করুন