প্রেমের তাবিজে কাজ হয়নি, ‘বৈদ্য’কে কুপিয়ে হত্যা

গ্রেপ্তার মোহাম্মদ এহসান

চট্টগ্রাম : পছন্দের নারীকে বশে আনতে এক নারি বৈদ্য থেকে তাবিজ নিয়েছিলেন এক যুবক। পরে ওই তাবিজ কাজ না করায় ওই নারি বৈদ্যকে কুপিয়ে খুন করেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় আরো তিন ব্যক্তি আহত হয়। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ এহসান (২২) বাঁশখালী উপজেলার মাইজপাড়া এলাকার মো.ইব্রাহিমের ছেলে।

সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের মধ্যম শীলকূপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউল কবির জানান, খুন হওয়া নারী ‘গ্রামীণ বৈদ্য’ সেজে লোকজনকে ঝাড়ফুঁক করতেন ও তাবিজ-কবচ দিতেন।

আরো পড়ুন : পটিয়ায় ২০ গজের মধ্যে ২ মসজিদ, সুন্নি-হেফাজত মুখোমূখি
আরো পড়ুন : মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত’ ঘোষণা দিয়ে র‌্যাবের ওপর হামলা বাকলিয়ায়

নিহত ফাতেমা বেগম (৪২) মধ্যম শীলকূপ গ্রামের মোস্তাক আহমেদ শিকদারের স্ত্রী। আহতরা হলেন- ফাতেমার মেয়ে পাখি আক্তার (২০) এবং প্রতিবেশি রাবেয়া বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে বৃষ্টি (১০)।

ওসি শফিউল কবির আরো জানান, ‘এহসান একটি মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়। তাকে বশে আনার জন্য ফাতেমা বৈদ্যের কাছ থেকে একবছর আগে একটি তাবিজ নেয়। এহসানের দাবি, ওই তাবিজ শরীরে বাঁধার পর তার শরীর খারাপ হতে শুরু করে। সুস্থ হওয়ার জন্য সে আরও কয়েকটি তাবিজ নেয়। কিন্তু মেয়েটিকে প্রেমে রাজি করাতে পারেনি। তখন আবার ফাতেমার শরণাপন্ন হলে তাকে আজ (সোমবার) সকালে একটি ডাব নেওয়ার জন্য বাড়ি যেতে বলে।’

‘এহসান সকালে ফাতেমার বাড়ি যায়। তাকে ঘরের ভেতর বসিয়ে ফাতেমা একটি ডাব দিয়ে জানায়, সেটি মন্ত্র পড়ে দেওয়া হয়েছে, এবার মেয়েটি রাজি হবে। ডাব কেটে খাওয়ার জন্য তাকে একটি দা দেওয়া হয়। কিন্তু এহসানের হঠাৎ মাথায় রাগ উঠে যায়। সে দা দিয়ে ফাতেমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। তাকে বাধা দিতে গেলে ফাতেমার মেয়েসহ আরও তিনজনকে আহত করে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত চারজনকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন এহসানকে আটক করে রেখেছিল। তাদের আমাদের কাছে সোপর্দ্দ করা হয়’, বলেন ওসি শফিউল কবির।

এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আহত চারজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। ডাক্তার ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজনের অবস্থাও ‍গুরুতর। তাদের ২৬ নম্বর অর্থোপেডিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।