বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে যারা আছেন তার মধ্যে অন্যতম মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন, অধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি তো মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। অথচ তার আজকে নিরাপত্তা নেই।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ভোটার অধিকারে’র দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছেন পিটার হাস। তাকে আমরা এ কথাটুকু বলতে পারি, যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলবে, স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলবে, বাংলার জনতা তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। জনতা তাদের রক্ষা করবে। এটা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। কে কি বললো এতে আমাদের কিছু যায় আসে না।
শেখ হাসিনার পক্ষে নির্বাচন করার এখন কেউ নেই দাবি করে দুদু বলেন, নির্বাচন কমিশন যেসব চিঠি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে দিচ্ছে, এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। ভালো নির্বাচনের জন্য এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনরায় গঠন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এ সরকার বলেছে চালের দাম ১০ টাকা হবে। কিন্তু এখন বাজারে গেলে দেখা যায় চালের দাম ৭০-৮০ টাকা। এ সরকার যতগুলো ওয়াদা দিয়েছে প্রত্যেক ওয়াদার বরখেলাপ করেছে। ফলে তারা এমন একটা অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, যেখানে একমাত্র পথ হচ্ছে পদত্যাগ। জাতি চায় এ সরকার পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিক।
কৃষকদলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব এখন গণতন্ত্রের পক্ষে। সারা বিশ্ব এখন গণতন্ত্রের পক্ষ নিয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত কিছুদিন আগেও আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার পক্ষে ছিল। তারাও এখন একটি ভালো নির্বাচনের কথা বলছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচন কোনোভাবেই হবে না। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে।