ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের কাউন্সিলে বক্তারা
প্রশ্ন ফাঁস চক্রের দায় কোমলমতি শিশুদের উপর চাপিয়ে দেওয়া কাম্য নয়

মুহাম্মদ মাছুম সভাপতি ও মিজান সম্পাদক নির্বাচিত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের কাউন্সিলে বক্তব্য রাখছেন পীরে তরিক্বত কাযী মুহাম্মদ ছাদেকুর রহমান হাশেমী এবং আলহাজ্ব মুহাম্মদ নঈম উল ইসলাম। (ইনসেটে নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক)। ছবি : নয়াবাংলা

চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের আয়োজনে মহান মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, অনুগামী সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আব্দুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ছাত্রনেতা মুহাম্মদ আবদুল কাদের রুবেল।

সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরীর সঞ্চালনায় সংবর্ধেয় অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরে তরিক্বত হযরতুলহাজ্ব আল্লামা কাজী মুহাম্মদ ছাদেকুর রহমান হাশেমী (ম:জি:আ:)। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব মুহাম্মদ নঈম উল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী ফ্রন্ট নগর উত্তর সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা মুহাম্মদ শফিউল আলম, যুবসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি যুবনেতা মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক যুবনেতা মুহাম্মদ হাবিবুল মোস্তফা সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম শাহাদাত হুসাইন।

প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা এইচ.এম.শহীদুল্লাহ। প্রধান কাউন্সিলর ছিলেন ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ কাউছার আহমেদ রুবেল। অনুষ্ঠানে সাবেক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা মুহাম্মদ নুরুল্লাহ রায়হান খান, জি এম শাহাদত হোসাইন মানিক। বিশেষ বক্তা ছিলেন ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস বর্তমানে একটি মহামারী আকার ধারণ করছে। এতে কোনো আইন প্রণয়ন ও দোষীদের গ্রেফতার না করে উপরন্তু তারেক আমিনদের মত মেধাবী ছাত্রদের সামান্য প্রশ্নপত্রে একটি ‘ডট’ নিয়ে পরীক্ষা হতে বহিস্কার করে ভবিষ্যত প্রজন্মকে মেধাশূন্য করার গোপন চক্রান্ত চলছে। বক্তারা আরো বলেন, প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মূল হোতাদের গ্রেফতার করতে না পারার ব্যর্থতা কোমলমতি শিশুদের উপর চাপিয়ে দেওয়া কোনভাবেই কাম্য নয়। অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতে যেন তারেক আমিনদের মত সম্ভাবনাময় বিজ্ঞানীদের আর দেশ ত্যাগ করতে না হয় সে ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর আশু পদক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা। এছাড়াও প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে অতিশীঘ্রই গঠিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানান।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী, মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাসুম, মুহাম্মদ শাহজালাল, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মুহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন খান, মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিন, মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন, মুহাম্মদ রিদোয়ান হোসেন তালুকদার পাপ্পু, মুহাম্মদ ফোরকান রেজা, মুহাম্মদ এরশাদুল করিম, মুহাম্মদ তৌহিদুল হক, মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন কাদেরী, মুহাম্মদ আবদুল কাদের, মুহাম্মদ আদনান তাহসিন আলমদার, মুহাম্মদ বাবর আলী, মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, মুহাম্মদ আবুদস ছাত্তার, মুহাম্মদ নিজাম, মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আরাফাত, মুহাম্মদ আরাফাত হোসেন, মুহাম্মদ সাব্বির হোসেন, মুহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম, মুহাম্মদ ওয়াহেদ, মুহাম্মদ আরমান, মুহাম্মদ জিহাদ, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ফরহাদ, মুহাম্মদ মুশফিক উদ্দিন রায়হান, কাজী মুহাম্মদ শিবলী, মুহাম্মদ এমদাদুল হক, মুহাম্মদ কাউছার, খালেদ বিন জাহাঙ্গীর, মুহাম্মদ সরোয়ার আলম, মুহাম্মদ ইলিয়াছ, মুহাম্মদ আবদুল কাদের, মুহাম্মদ আবু নাছের, মুহাম্মদ নাঈম প্রমুখ।

কাউন্সিলে ২০১৮-১৯ সেশনের জন্য সর্বসম্মতিতে মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী সভাপতি, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক, মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪১ সদস্যবিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

শেয়ার করুন